খেলাধুলার ক্ষেত্রে রংপুর জেলার রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য। এ জেলার দেশীয় ও আঞ্চলিক খেলাসমূহের মধ্যে হা-ডু-ডু (বাংলাদেশের জাতীয় খেলা), কাবাডি, দাঁড়িয়াবাধাঁ, নানা রঙ্গের ঘুড়ি উড়ানো, পাখি, গোল্লাছুট, এক্কাদোক্কা, বৌছুট, ডান্ডাগুলি (রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় চেংকু-পেন্টি), লাঠি খেলা, তরবারি খেলা, দধিকাঁদো ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কেবল রংপুর বাংলাদেশে নয়, ভারতের কোন কোন জেলার গ্রামে-গঞ্জেও এসব খেলা সমানভাবে জনপ্রিয়।
অতীতে দেশীয় প্রায় সব খেলাধুলাই ছিল সৌখিন প্রকৃতির। প্রচার ও চর্চার অভাবে দেশীয় এসব খেলা এখন বিলীন প্রায়। অন্যদিকে ব্যাপক প্রচার এবং নিয়মিত চর্চার কল্যাণে বিদেশী প্রায় সব খেলাই এখানে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
খেলাধুলার ক্ষেত্রে রংপুরের ঐতিহ্যের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে ফুটবলের কথা। রংপুর তাজহাট রাজা বাহাদুরের পৃষ্ঠপোষকতায় উনিশ শতকের প্রথম দিকে এ জেলায় ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়। রংপুর ফুটবল অঙ্গনে অনেক খ্যাতিমান খেলোয়াড় ছিলেন। তাদের মধ্যে যাদুকর আব্দুস সামাদ, মোনাগুহ, গোপাল রায়, কামাখ্যা দাস, ইসলাম, সুরেন দে, জীবন মুখার্জী, সান্টু, কাজী ছাত্তার, কাজী আনোয়ার, মুন্না প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ফুটবলের মত ক্রিকেটেও রয়েছে রংপুর জেলার নিজস্ব ঐতিহ্য। রংপুর জেলায় ক্রিকেট খেলা বৃটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর কালেক্টরেট ময়দানে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা, রংপুর ও জেলার অন্যান্য ক্রীড়া সংগঠনগুলো জেলার ক্রীড়া উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি রংপুর জেলায় ক্রীড়ার ক্ষেত্রে বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি খেলার আয়োজন করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস